১০ জুলাই ২০১৫

৩য় বছর ৭ম সংখ্যা





কবিরুল ইসলাম কঙ্ক

ছিন্নপত্রের অংশ


বৃত্তের চারধারে জমে উঠেছে অবৈধ স্তূপ
এবার চারপাশ ঘিরে জমে উঠবে উৎসব

পাতার হাত ধরে কাঠকুড়ানি কবেই গেছে জঙ্গলে
মাটিতে সূর্য আলোর সাথে পাখির কলরব

হিম শিশিরে অব্যক্ত চাঁদের জোছনা নিশ্চুপ
নিঃশব্দে ভেঙে যায় মাটি, ভাঙলা নদীর তীর

দিনের আকাশে তারার দল নেই কে বলে
এই দেখো, পকেটে পড়ে খুচরো মনস্থির

উজানগাঙে ভাসানযাত্রা আজ অসংখ্যবার
আমি ভাসি, তুমি ভাসো, হৃদয় ভাসে আকছার 



শুভঙ্কর ঘোষ

যে নারী আমার 


যে নারী মেঘমল্লার জানে; তার জন্যে  
আমার দরজা খোলা, 
অনুদিন বর্ষাশেষে রাতের বুকে নামবে  
সত্তা আপনভোলা  

যে নারী প্রদীপ জ্বালে সাঁঝে, আমার  
ঘরের অন্ধকারে, 
আর্দ্র ছায়াপথের গন্ধে আমার  
একান্ত ঘুম কাড়ে  

যে নারীর বুক আপনিই কেঁপে ওঠে 
তীব্র জলোচ্ছ্বাসে, 
সে ছোঁয়ার মেয়ে পরিণাম লেখে 
উষ্ণ ক্রীতদাসে  

যে নারী ছড়ায় ভোর-গোধূলির আলো 
সংকীর্ণ গহ্বরে, 
এলোমেলো করে শিথিল প্রণয়, পুরুষের 
স্নিগ্ধ চরাচরে  

যে নারী রোজ জলপথ আর বায়ুপথ হয়ে 
আমার মন-পথে, 
সহস্রমুখী  মননের  রঙে  মিশে 
হৃদয়ে বাঁচে কোনও মতে  

যে নারী তেজ-দীপ্ত আকাশের কেন্দ্রে 
বৈশাখী ঘোষণায়, 
ঘরের প্রান্তে ক্ষীপ্র দুচোখে  
একাকীই বসে নেয়  

সে নারী আমার, শুধুই আমার 
কর্তৃত্বের রেশ, 
পৌরুষ ঢালে স্নিগ্ধ ভূমিতে এখনো 
তীব্র নারী-দেশ  




ইন্দ্রনীল

সাপ্তাহিকী 

. 
হাসির মতো এস 
বৃষ্টি প্রণয়ে 
কান্নার জল ধরে রাখার পাত্র নেই আমার  


. 
চোখ বড় না হৃত্পিণ্ড 
এখনো জানিনা  
শুধু জানি যেটুকু অসুস্থতা 
সেটা চোখে 


. 
প্রতিদিন সাক্ষী থাকি   
বিকেল-সন্ধ্যের মিলনের 
পাতা ঝরে যাওয়ার আওআজ শোনা যায় না 


. 
এলাহাবাদের সঙ্গমের প্রসঙ্গ সামনে আসতেই 
মনে পড়ল 
এবার গঙ্গা আরতি শুরু হবে 
কত শত বিকেল হারিয়েছে -তটে 


. 
জীবনের কাছাকাছি ফিরে এস কখনো 
চারাগাছ এখন মহীরুহ 
তোমার জন্য যে ছায়ার আয়োজন 
সেখানে এসে চোখ ছুয়ে যেও আমার 


. 
ডাকনামে ডেকো আমায় 
পূর্নিমা-জ্যোত্স্না-চাঁদ 
তিনটেই অভিন্ন 
শাশ্বত আমি 
আগে যা ছিলেমএখনো তাই...  


. 
ফটো-ফ্রেমে বাঁধানো ছবিটা লালচে এখন 
তবুও.... 
ছোট ছোট ঢেউ- ভেসে যেতে চাই একবার