২৯ এপ্রিল ২০১৭
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক
হৃদিগান
তোমার কাছে সকালের রোদ
বিকেলের গোধূলি,
তোমার কাছে জমিয়ে রাখা
মনের বাঁধন খুলি
।
তোমার কাছে সন্ধ্যেতারা
তোমার কাছে আলো,
তোমার কাছে চাঁদ সূর্য
আকাশপ্রদীপ জ্বালো
।
তোমার কাছে আয়নামহল
নিজের প্রতিচ্ছবি,
তোমার কাছে পদ্য লেখা
পংক্তিগুলো সবই
।
তোমার কাছে রাগ-বিরাগ
তোমার কাছে গান,
তোমার কাছে প্রিয় কথা
গোপন অভিমান ।
তোমার কাছে হারিয়ে যাওয়া
এবং ফিরে আসা,
তোমার কাছে রাখা আছে
হৃদয় ভালোবাসা
।
গার্গী মুখার্জী
স্মৃতিপট
হারিয়ে গেছে রাঙা পথে
উদাস বাউল সুর,
চড়া রোদে গাছের ছায়ায়
ভরপুর দুপুর ।
হারিয়ে গেছে রাখাল বাঁশি
গরু ভরা মাঠ,
হারিয়ে গেল জল টলটল
দিঘির বড় ঘাট ।
কোথায় গেল বাঁশের বনে
পাতার শন শন,
বৈশাখী সেই সন্ধে বেলার
সুরেলা কীর্তন ।
হারিয়ে গেছে বাগদি বুড়ি
সেই গ্রাম্য সুখ,
বুকের মাঝে উথালপাতাল
অতৃপ্তি অসুখ ।
হারিয়ে গেল ছোট্টবেলার
সুখের স্মৃতি যত,
বুকের মাঝে বেদনা জাগায়
ঝরা ফুলের মতো ।
হারিয়ে গেছে রাঙা পথে
উদাস বাউল সুর,
চড়া রোদে গাছের ছায়ায়
ভরপুর দুপুর ।
হারিয়ে গেছে রাখাল বাঁশি
গরু ভরা মাঠ,
হারিয়ে গেল জল টলটল
দিঘির বড় ঘাট ।
কোথায় গেল বাঁশের বনে
পাতার শন শন,
বৈশাখী সেই সন্ধে বেলার
সুরেলা কীর্তন ।
হারিয়ে গেছে বাগদি বুড়ি
সেই গ্রাম্য সুখ,
বুকের মাঝে উথালপাতাল
অতৃপ্তি অসুখ ।
হারিয়ে গেল ছোট্টবেলার
সুখের স্মৃতি যত,
বুকের মাঝে বেদনা জাগায়
ঝরা ফুলের মতো ।
মহম্মদ সামসুর রহমান
একুশ শতক কিংবা আধুনিক
সেই বনলতার সবুজ দ্বীপ দেখার চোখ আমার নেই;
আসতে দেরি হলে তুমি আর অপেক্ষা করোনা,
ভালোবাসার মেধাবী পাঠে এখন শুধু খামখেয়ালি ডেটিং
ফেসবুক,ওয়াটস্অ্যাপ,চাটিং
মুড ভালো নেই কবিতার,আঁতেল মার্কা পদ্যেরও
তোমার প্রেম বড্ড বেলাল্লাপনা;
আমি কনফিউজড;নিদারুণ প্রশ্রয় দিতে গিয়ে
আকাশ ভরা সূর্য তারার মাঝেও এমন সর্বনাশা আশকারা;
বেয়াড়া ঈশ্বরের বুক ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে রোমশ ভালোবাসা;
নিজেকে খুঁতহীন করতে গিয়ে যে নোংরা হাতে পূজা করি,
গুরুতরভাবে তাকে ধুয়ে দিই তরল গন্ধে;
‘নো স্মোকিং’ ফলকের সামনে উৎকট ভাবে নাড়ছি
নগ্ননির্জন_একাকী;
চুমু-বিষের তফাৎ খুঁজতে নির্মাণ থেকে বিনির্মাণে;
মৌসুমী রায় ঘোষ
বলিরেখা
আদিম গুহার অন্ধকার দেওয়ালে
পৃথিবীর প্রথম শিল্পীর আঁচড়ে মিশে আছে বলিরেখা
অন্দিতে সন্ধিতে গাঁথা অভিঞ্জতা নদী
অসম্ভবের কাহীনি গর্ভে নিয়ে
বয়ে যায় অজানা গন্তব্যে
নদী মেশে নদীতে
শেষ নেই কোনোআদিম গুহার অন্ধকার দেওয়ালে
পৃথিবীর প্রথম শিল্পীর আঁচড়ে মিশে আছে বলিরেখা
অন্দিতে সন্ধিতে গাঁথা অভিঞ্জতা নদী
অসম্ভবের কাহীনি গর্ভে নিয়ে
বয়ে যায় অজানা গন্তব্যে
নদী মেশে নদীতে
মাঝে মধ্যে চলকে ওঠে অভিঞ্জতা
ভিজিয়ে দেয় পাড়ের কালো বালি
জটিল-কাদা-কাদা-সোঁদাগন্ধ ভরা
পাতাঝাঁঝি, প্ল্যাঙ্কটন আর সবুজ
সৃষ্টি করে থমথমে রহস্য
পিচ্ছিলতার কারনে রহস্য-সংক্রমন হয়
জরা আর বলিরখার এখানেই মিল
দুজনে জুবুথুবু বসে দূরে চেয়ে থাকে নিষ্পলক
একটা ছবি ক্যানভাসে ফুটে ওঠে
সূর্যাস্তের সূর্য ডোবা
অথবা-- শেষ সূর্যরশ্মি
সুবীর সরকার
জাদু
ক।
জাদুর ভঙ্গিমা জানি। শুকিয়ে যাওয়া
জলধারায় কে আর নৌকো ভাসাবে!
#
এত এত নিমকাঠ।ব্যঞ্জনধ্বনি।
খ।
ঘূর্ণিজলে শামুক ঝিনুক
বাঘপুলের গায়ে মেঘের
ছায়া
হাওয়ায় দুলছি।
না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়া
তিন তিনটি রাত
এ কাহিনির কোন শুরু নেই
আলো নিভিয়ে দিন
বন্ধ করুন বাক্সের
মুখ
ক।
জাদুর ভঙ্গিমা জানি। শুকিয়ে যাওয়া
জলধারায় কে আর নৌকো ভাসাবে!
#
এত এত নিমকাঠ।ব্যঞ্জনধ্বনি।
খ।
ঘূর্ণিজলে শামুক ঝিনুক
বাঘপুলের গায়ে মেঘের
ছায়া
হাওয়ায় দুলছি।
না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়া
তিন তিনটি রাত
এ কাহিনির কোন শুরু নেই
আলো নিভিয়ে দিন
বন্ধ করুন বাক্সের
মুখ
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)