২৩ জুন ২০১৪

পলিন কাউসার



আমার কালক্রম
 
যেটুকু সময় জেগে থাকি
ঘুম চুরি করে নিয়ে যায় 
বালিশের সুখ, তোষকের সুখ
আদরে থাকা চাদর 

যেটুকু সময় বসে থাকি
দৌড়ে চলে যায় পা, আমায় ফেলে
বেঞ্চির পার্ক, বাদামের খোসা
পড়ে থাকে উপেক্ষায় 

যেটুকু সময় হাঁটি 
টেনে নিয়ে যায় হাত, গাছের আঁধারে
সিমেন্টের জঙ্গলে, ঘাটের পুকুরে
নাম ধরে ডাকে কুড়েমি 

আর যেটুকু বেহুদা
ঘুম দৌড়ে এসে, হাত ধরে বলে
চলো, জেগে থাকি 




 পদকর্তা 

 
কবিতাও মাঝে মাঝে রঙ করা লাগে
খসে যাওয়া ভাষণের পলেস্তরা, ফেঁসে যাওয়া বর্ণ 
মরচে পড়া শব্দের আহাজারি, কানে আসে 
স্বীকৃত দণ্ডাদেশের মতো 

কবিতার খোঁয়াড়ে আগল লাগে না
পাতার উঠোনে বসে, বুনা কথার পুঁতি 
গেঁথে রাখতে হয় কালির কাঁটায়
লিখিত অধ্যাদেশের মতো 

কবিতার জন্যে কবিত্ব লাগে 
কবিতার জন্যে কাব্য লাগে 
কবিতার জন্যে, লাগে একজন পদকর্তা 








প্রাণ পরবর্তী
 
জন্মগত ত্রুটি নিয়ে প্রেম জন্মায় নি
জন্মের পর, ঠিক কিছু পরেই, ত্রুটিতে ফেঁসে যায় প্রেম
দোলক হয়ে উঠার প্রথম বয়স

জন্মগত জাগরণ নিয়েও জন্মায় নি সে
জন্মের পর, তার শৈলীতে জাগরণের রূচি বসে যায়
দেহী হয়ে উঠার দ্বিতীয় বয়স

জন্মগত জাল, ছিলো না তার
জন্মের পর, জাল বুনানির ফাঁক, তাকে জালক করে দেয়
দ্রোহী হয়ে উঠার তৃতীয় বয়স

অপেক্ষায় যৌবন, বয়ঃসন্ধির কাজ প্রায় শেষ...





 কদম, দাক্ষিণ্য ছিলো না 
 
মনে পড়ে
ভিক্ষুক নিয়েছিলো কদম
বর্ষার কোন এক মোচড়ে, এই প্রথম 
অনাখঙ্খিত নির্যাস হাতড়ে নেবার অনুকূল রেশ 
এসে গেলো হাতে 
আহারের চাল, ভাবিয়ে নেবার দুপুর, গত করে 
শুন্য থালা ভেসে বেড়ায় ফুল নিয়ে 
কাল নিয়ে, গোপনে মেঘের ডাক নিয়ে
বোলশূন্য আমি, হেঁটে হেঁটে, পাশ কেটে 
ঠেকানো সে অন্ধ চোখ ফেলে, চলে এলাম 

দাক্ষিণ্য! সেতো রোজকার রোজগার
কদম দেবার অভয়, আমার ছিলো
প্রয়োজন ছিলো না তার, হয়তোবা 





উল্টো বগির সত্তয়ারি 

 
আমি হাঁটি, পায়ের শব্দ রেখে আসি
শোবার খাঁচায়
খুব আঠালো না হলে পরে, ফিরিয়ে দিই 
লেগে যাবার ডর
যেখানে কাক নামে, সচরাচর এঁটো করি না 
শেষ রাতের কুটুম্বিতা মাঠে
নিতান্ত শীত উজ্জাপনে 
জঙ্গল বরাবরই খুব আপন 
আপন, বাসি হয়ে যাওয়া সুগন্ধি

আমি এমনই, শুধুই উল্টো বগির সত্তয়ারি 


রাজর্ষি মজুমদার



ভিজে 


পাড়ের অবিশ্বাস্য বিরতি খুঁজে ফেলেছো স্থির -

রেখার মতন বোতামের যোগাযোগ অল্প অল্প ওড়ে -

বারিষ দিনের ওপাশে


সমস্তবাড়ি ভিজে

ওষুধটুকু বুঝিও মিলিকে

মন্দলাগা মুছে গেলে, দেখতে লাইটার জ্বালাব।