১৪ জুন ২০১৯

Bcd


Abc


২৫ মে ২০১৯

শুভ চক্রবর্তী

দৃশ্য-পট


                     ১
দীর্ঘ রাত্রির প্রতীক্ষায় ছিলাম-
                                    সহস্র যুগ...

তোমার শীর্ণ গুল্মলতায় অশ্রু পড়ছে চুঁয়ে;
ছায়ায় ছায়ায় বাঁধা আছে নক্ষত্রের পথ।

হে তিমির জলযান স্তব্ধ হও,
সম্মুখে প্রস্তাব প্রসঙ্গ রাখো।
                     ২
জীর্ণ প্রণয়ীর সাজে সেজে উঠুক উৎসব...

বসন্তের মত বাক্যালাপ করো
অনন্ত কক্ষপথ গ্রন্থিত
                       তোমার কণ্ঠে,
রুদ্র পলাশ ফুটে আছে
              তোমার মেদুর খোপাগুচ্ছে,

                                   স্নিগ্ধ সমীরণ
তোমার ধুলোময় হৃদয় হাতড়ে  ফিরে যায় নিশীথ সূর্যের দেশে।

তোমার বক্ষে 'গন্ধর্ব কবিতা গুচ্ছ' লিখেছেন স্বয়ং ব্রহ্মা…

                     ৩
তারই কিছু যখন পাঠ করি,
সেই মুহূর্তে থমকে যায় রাত!
চরাচর জুড়ে শুধু ম্লান জ‍্যোৎস্না আভা;
আতরের সুগন্ধ তোমার নিশ্বাসে...

উত্তাল মৃদঙ্গ-এ নাচে
              রুদ্র ভৈরব ;

শিশির ভেজা ঘাসে সমাহিত হওয়ার সময়ও ক্রমে ঘনীভূত হয়...

                      ৪
উদ্বায়ী প্রেম হৃদয়-এর জ্বালা সরিয়ে ক্রমে নেমে যায় নাভিমূলে।

খুশবু আহমেদ

চাঁদনি রাতের শেষে

সেদিন চাঁদনি রাতে সবুজের অন্ধকারে
     নিয়নের অস্থির আলোয়,
অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং র নিবিড় হৃদয়কুঞ্জে
তোমার আমার নীরবতার অনুবাদ,
মিশেছিল চোখের অফুরন্ত নেশায় |

  হয়তো ভুল করে থাকতে চেয়েছিলাম
   তোমার হৃদয়ের উষ্ণ আত্মায় |
লজ্জাহীন ঠোঁট পান করতে চেয়েছিল অমৃতের স্পর্শ !
প্রথম দেখার কৃত্তিমতা
নিমেষে বাড়িয়েছিল স্পর্শের স্ফূটনাঙ্ক |

চুম্বক মেরুর মতো আমাদের বৈপরীত্য
তোমায় আটকেছিল মায়াময় মাঝরাতে |
বৃষ্টিভেজা আঁধার রাতের সিন্ধু
অচেনা তোমাকে চেয়েছিল
শতবর্ষের প্রেমহীন একাকীত্বে !

তারপর আজও চাঁদনি রাতের শেষে ,
অকারণেই তোমায় আগলে রাখতে চাই |



গার্গী মুখার্জী

গরমাগরম

টাক ফাটা রোদ্দুর
আকাশটা গনগন,
ঘামে ভিজে যায় জামা
মাথা করে টনটন ।

হাঁসফাঁস করে প্রাণ
বুক করে ধকধক,
পেট পূজো লাটে তুলে
জল খাও ঢকঢক ।

ছায়া থেকে বের হলেই
মাথা ঘোরে বনবন,
হই যদি অচেতন
জল ঢেলো টন টন।

পাখা ঘোরে বনবন
তবু নেই কোনও সুখ,
কারেন্টটা থাকবে তো
বুক করে ধুকপুক ।




২৩ মে ২০১৯

নিল হাসান

তুমি সুন্দর থাকো

আজও তুমি ঠোঁটের কোণে
মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে রাখো
জিহবার স্পর্শে রাত্রি দুপুর
উপুর করে জলজ আদর মাখো ।

মধ্যরাতে দেহের পরতে পরতে
সুখ জমাতে থাকো
মনের কোণে কাকে যেনো
যত্ন করে লুকিয়ে রাখো ।

সবকিছু ভুলে আবার তুমি
কেন পেছন ফিরে দেখো
সঙ্গোপনে বুকের দ্বার খুলে
কোন সুখের চিহ্ন আঁকো,

পেছনে ফেলে কার স্মৃতি
তুমি কার হয়ে থাকো
কীভাবে যেনো তুমি ভালো থাকো
তবু ! তুমি সুন্দর থাকো।

এস.কে.এম মিজানুর রহমান

অজুহাতের টিকিটে

অজানা অজুহাত দেখিয়ে
দেশের নেতা মন্ত্রী সকল
কিরীট সম সমাহারের ইসু তুলে
মানুষ কে ভাঁওতা গিলাচ্ছে

লেপ্টানো চর্বি চাটিয়ে
মধ্য বৃত্ত ভরাট সমাজ কে
লাগাম পরিয়ে দিন'মান খাটাচ্ছে
সাধু ভণ্ডের দল।

এখানে এসে ঢেঁকেছে দেশ
ঠিক যেন পুকুরের শ্যাওলার ন্যায়
একটা কোন কেই বেছে নিতে হয়
এটাই বাধ্য করা,বেঁচে থাকার লোভ দেখিয়ে

সেথায় উৎপত্তি রাহাজানি, চুরি সম দোষ
সমাজের বুকে আর কতকাল রইবে এই বুনো মোষ।

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

শরৎ এলে

শরৎ এলে দোল খেয়ে যায়
সাদা কাশের বন,
তুলোর মত মেঘ গুলো সব
উদাস করে মন।

শরৎ এলে শিশির ভেজা
ঘাসের ডগাই হাসে,
মাঠে মাঠে পাগলা হাওয়ায়
সবুজ ফসল ভাসে।

শরৎ এলে শাপলা শালুক
নদীর জলে ফোটে,
দুষ্টু ছেলে সাঁতার কেটে
অমনি সেদিক ছোটে।

শরৎ এলে পাখীর গানে
জুড়ায় সবার প্রান,
আকুল করে শিউলী টগর
জুঁই চামেলীর ঘ্রান।

শরৎ এলে জোনাক মেয়ে
ছড়ায় শুধু আলো,
এই শরতে আনন্দ ঢেউ।
তাইতো লাগে ভালো।

শক্তিপ্রসাদ ঘোষ

মুখ

অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে অর্ধেক
বিকৃত, বিবর্ণ মুখমন্ডল
হিংসা, ক্রোধ, ধ্বংস
গিজগিজ মগজ
বিদঘুটে, বিষাক্ত ফুলের
জন্মদাতা পোগ্রেসিভ
খুজে কি পাব না
সরল, শান্ত, স্নেহ শীলা
দয়াময়ী মুখ।

বিশ্বজিৎ প্রামাণিক

চোখবৃষ্টি

আকাশ ভরা বৃষ্টির শব্দে তোমার নাকি ঘুম আসে!
তবু চোখের বৃষ্টিতেই ছুটেছে আমার সমস্ত ঘুম!
হঠাৎ বৃষ্টির নামা জলের বুকে কাগুজে নৌকো দেব ছুড়ে!
দুই মনের কিলোমিটারের দূরত্ব দেব ঘুচিয়ে বিলক্ষণ।

আমারও পাঁজরের নীচে নাকি একটা হৃদয় আছে!
মহাকাল থেকে পেয়েছি যত বিশৃঙ্খলার নির্বাসন!
আঘাত বিষন্নতায় থার্মোমিটারের পারদ ছুঁয়েছে,
কান্নার রোল নাকি বৃষ্টির সুর কে জানে তা বিচক্ষণ!

ভেজা গোলাপের গন্ধ কৃষ্ণপক্ষের বিদঘুটে অন্ধকারে থমকে!
সোঁদা মাটির ঘ্রাণেও কী অদ্ভুত বিরক্তির চন্দ্রগ্রহণ!
যেখানেই থাকি দূরের বারান্দায় বিচ্ছেদের বন্দিতে এঁটে,
শুধু হৃদয় জানে আমার তোমার জন্য ভালোবাসা আছে সর্বক্ষণ।

শুক্লা মালাকার

এই শহর

নক্ষত্রের ফেলে যাওয়া চিঠি
খাজুরাহোর সঙ্গমরত ম্যুরাল
ঘুষ খেয়ে না হওয়া বৃষ্টি
বুকের ভেতর পচে যাওয়া ভালোবাসা,
ম্যজিক হারিয়ে ফেলে
সময় ভুলেছে সুখের টুকরো কুঁচি।

শহর জুড়ে ভেসে আছে আধকলি গান।

শান্তা কর রায়

ধাৎ

চোখে নিমফল দেওয়ার পর সাপ ভেসে ধেড়াচ্ছে আকাশে বাতাসে । আজ আবার পরিবেশ নিয়ে ভাবনা । গাছ খেদাও শ্লোগান বেশি, কার বাড়ি পাশের বাড়ির জাম কালো করলো!!  কার ছেলে দারুণ রেজাল্ট করেছে গাছ কেটে পিকনিক!! আর কার ছাদে নিমপাতা পড়েছিলো!! দাও ছেটে দুশো বছরের গাছটাকে। দিনে মিছিল রাতে সোমরস আর ছিলিম তৈরি । সব শালা শিবের চ্যালা, আর তাঁকে ধেড়ানো চোখের কল্যাণে অমরেশ পুরি মনে হচ্ছে!!!

সুদীপ্ত মণ্ডল

স্মৃতি জুড়ে আছে

স্মৃতি জুরে  আছে
নদীর নির্জনতা দুফুরখানি
নদীতীরে ছিল এক বিরাট বটবৃক্ষ
ছায়া ঘন শীতল আশ্রয়
বটের ঝুরির মত তোমার মাটিও ছুঁয়েছি
আমি তোমাকে কতবার
যেন গভীর ভালোবাসা এক
এখন মধ্য যৌবনে এসে
আমাদের এক বাড়ি হয়েছে বটে
সাজানো গোছান ফ্লাট
নদী নেই, নদীর নির্জনতা দুফুরখানি
সময়ের কালস্রোতে হারিয়ে গেছে
ব্যস্ত সময় এখন
তোমার অবিন্যস্ত চুলে বিলি
কাটতে ভুলে গেছে, কবিতাও
শোনাই না আর
তবু বিকালের আলোয় দেখি
দুটি পাখি কার্নিশ জুড়ে বসে
যেন প্রেমিক প্রেমিকা
প্রেম তুমি বট বৃক্ষ হও
তোমার গোপন ঝুরি নামাও।

অর্ঘ্য দে

ভালোবাসো তো আমায়

ভালোবাসো তো আমায়.....
প্রতিধ্বনিত হয় মনের দেওয়ালে।
ফিরে ফিরে আসে কথায়....
প্রশ্নচিহ্নের সর্পিল বাঁকে
থমকে গেলো চোরাস্রোত।
হাতে হাত পড়তেই
সম্পূর্ণ হয় বর্তনী...
আলো জ্বলে, গান বাজে।
হাত থেকে হাত সরলেই
আবার সেই অন্ধকার।
দ্বিধা জিজ্ঞাসা করে...
ভালোবাসো তো আমায়.....        

Bcd


২২ মে ২০১৯

উন্মেষ

১ম বছর ২য় সংখ্যা  


রবীন্দ্র নজরুল স্মরণ সংখ্যা 




































 























abc