২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ঋষি সৌরক


হোটেল কোলকাতা১ 


খনো ঘড়ি বন্ধ হয় নি  

নিতান্ত কিছু পরশ্রীকাতরতা  
বুকে নিয়ে জাল বুনছে শ্রীমদ্ স্বপ্নের মাকড়সা - 
গোটা চার অসামাজিক পিঁপড়ে হারিয়ে ফেলেছে মানচিত্র  
জুতোগুলো কি যমজ ? 

তোমার শহর কোনো কসমোপলিটন হোটেলের চেয়ে কমদামী না  
যেমন ঐ ‘’পার্সেল’’-এ রং-বেরঙ্গের মিথ্যে পুষেছো 
ছুটি দিয়ে ডুয়েটরুমাল খুলি - 
দিনবদলের মনকেমনগুলো ভাংছে  
শাখা-প্রশাখায়,  
অল্পবৃষ্টিতেই যখন সব তলিয়ে যাচ্ছে  
সহজাত কবিতা ভাসিয়ে দিলাম  
দেশলাই বাক্সের গায়ে । 

নিজেকে ঝুলিয়েও কতজন পার হোলো না রাস্তা  
তারা ভুলে গেছে - 
এই চৌকাঠ একদিন রোম্যাণ্টিক ছিলো  

শুধু এই শহরটাকে ঘুম পাড়াবো বলে  
আজো ঘুমোতে পারিনি ... 

হোটেল কোলকাতা ২ 
নিয়মের সূঁচফাঁকে নিভৃত হাওয়ার অরি -  
মেট্রোর চলন্ত দেয়াল ইরেজিত হয়  
বালিকার দো না ম না শীতে ! 
এতো মানুষ এলো কোত্থেকে ভাবতে গিয়ে  
ঈভসুমারী কুমারী চির সারদীয়, 
কি-ফলক একটি সব্যসাচী প্রোডাক্শান মাধ্যম   
কোথায় জানি লেখা আছে মোনের বাপের বাড়ি বুক 
বাঁহাতি লোকটির বাঁহাত কাটা গেলে তাকে কি ডানহাতি বলা যায়? 
কিছু কিছু কাজ একহাতে সম্ভব না  
যেমন – বাংলা কবিতা লেখা  
বানানের ভ্যানতাড়াগুলি পিঁচুটির মত জমে জ  
ফর্ম্যালাঁখি কোলকাতায়  

সমস্ত বাঁধন কিছু কপট নির্মমতা দাবী করছে  ... 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন