হোটেল কোলকাতা১
এখনো ঘড়ি বন্ধ হয় নি
নিতান্ত কিছু পরশ্রীকাতরতা
বুকে নিয়ে জাল বুনছে শ্রীমদ্ স্বপ্নের মাকড়সা -
গোটা চার অসামাজিক পিঁপড়ে হারিয়ে ফেলেছে মানচিত্র
জুতোগুলো কি যমজ ?
তোমার শহর কোনো কসমোপলিটন হোটেলের চেয়ে কমদামী না
যেমন ঐ ‘’পার্সেল’’-এ রং-বেরঙ্গের মিথ্যে পুষেছো
ছুটি দিয়ে ডুয়েটরুমাল খুলি -
দিনবদলের মনকেমনগুলো ভাংছে
শাখা-প্রশাখায়,
অল্পবৃষ্টিতেই যখন সব তলিয়ে যাচ্ছে
সহজাত কবিতা ভাসিয়ে দিলাম
দেশলাই বাক্সের গায়ে ।
নিজেকে ঝুলিয়েও কতজন পার হোলো না রাস্তা
তারা ভুলে গেছে -
এই চৌকাঠ একদিন রোম্যাণ্টিক ছিলো
শুধু এই শহরটাকে ঘুম পাড়াবো বলে
আজো ঘুমোতে পারিনি ...
হোটেল কোলকাতা ২
নিয়মের সূঁচফাঁকে নিভৃত হাওয়ার অরি -
মেট্রোর চলন্ত দেয়াল ইরেজিত হয়
বালিকার দো না ম না শীতে !
এতো মানুষ এলো কোত্থেকে ভাবতে গিয়ে
ঈভসুমারী কুমারী চির সারদীয়,
কি-ফলক একটি সব্যসাচী প্রোডাক্শান মাধ্যম
কোথায় জানি লেখা আছে মোনের বাপের বাড়ি বুক
বাঁহাতি লোকটির বাঁহাত কাটা গেলে তাকে কি ডানহাতি বলা যায়?
কিছু কিছু কাজ একহাতে সম্ভব না
যেমন – বাংলা কবিতা লেখা
বানানের ভ্যানতাড়াগুলি পিঁচুটির মত জমে জ
ফর্ম্যালাঁখি কোলকাতায়
সমস্ত বাঁধন কিছু কপট নির্মমতা দাবী করছে ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন