২৬ জানুয়ারী ২০১৫

ইকবাল হোসেন বাল্মীকি

জল কুমারির ভ্রমণ  বাতাসের ছুরিকা


প্লাটিনামের চাকু ঘোরাচ্ছি বাতাসে
বাতাসের ছাল পরিষ্কার করছি
ছাল তোলা বাতাস পালতুলে
এসেছে মনের অসুখে। আমি হাঁ করি
বাতাসের রক্ত খেতে ভালবাসি।
প্লাটিনামের চাকু বাতাসে তৈরি।
বাতাস, বাতাস তুমি কি জিরাফের মতো
বাতাস, বাতাস তুমি কি বনেলা পেঁচার মতো
বাতাস, বাতাস তুমি কি একেলা সহবাসের মতো
বাতাস, বাতাস তুমি আমার দণ্ড তুমি আমার মুক্তি।
চাকু ধোতে যাবো লন্ডনিয়ামের থেক একশ মাইল উত্তরে
আলেক্সজান্ডার তার পিতামহ যেখানে রক্ত গর্গল করেছিল
মধ্যব্রিটানিয়ার হ্রদে।এখানে আজ এক জলকুমারি নিয়ে যাচ্ছি।
কয়েকটা ইসকাপনের অজগর সেখানে হেলে দুলে যাচ্ছে।
কয়েকটা ইস্টিলের দাড়াস সর্প দ্রুত বেগে লিক লিক করে যাচ্ছে।
আমিএম ওয়াননদী দিয়ে যাচ্ছি আমার নৌকাটিয়েটা করোলা
আমার বাম পাশে তামুক ভারার জন্য সুন্দর চোকরা।
পিছনের সিটে নিচ্ছি রাতের মাংস, জল কুমারী চুপচাপ বসে আছে
তবুও বাতাসের রক্তে শীত লেগে আমার সর্দি জ্বর আসবে মনে হয়।
বাতাসের নাও ধিরে ধিরে বাও গান গায় সুবুদ জল কুমারি।
দমক দিলাম।এই দেখ চাকু, তোর বাতাস বের করে দেব,
দেয়, বুক থেকে চাঁদ খুলে দেয়।
চাঁদ বর্গা দিয়েছিল কার কাছে , এতো কলঙ্ক কীসের
দেয় নাভি থেকে জলের ইন্দারা মুখে ঢেলে, মদ খায় মাতালিরা
আমি তোর ইন্দারার নিচে সুমদ্র, সমুদ্রের তলে সাগর, তার তলে দরিয়া
সব জল দরিয়া সহ ডুক ডুক খরে চাকুদিয়ে খাবলে খাবলে খাব
দেয়, আপেলের লাল অংশ চুল দিয়ে চোরি করে রেখেছিস
দেয়, বের করে দেয়---
তোর আমার দুরত্ব মাত্র দুই ফুট
আমার ধারালো কৃপান দশ ইঞ্চি। এক নিমেশে দুরত্ব মধু দিয়ে খেতে পারে।
লাল আপেলে জলকন্যার মাড়ি বসে আছে
মাড়ির চিত্রেমকবুল ফিদা হোসেনপোশাক বানাচ্ছেন জম্ম দিনের
তিব্র গন্ধ বের হচ্ছে তৈলচিত্র থেকে। বনাজি তেলের গন্ধ।
উরদংগের বিষ নামানোর গন্ধ। জল কুমারীর নাভির গন্ধ।
আর পারিনা। স্টিয়ারিং নৌকার পিছনের সিটে নিয়ে আসি।
নৌকার জানালা পানির মত কাঁচের। দেখা যায় হলুদ সরিষার মনোহর আগুন
এখন বাতাস নৌকা চালাচ্ছে, বাতাসের হেন্ডেল কে ঘোরায়?
আমি জল কুমারীর নিদ্রার পট্টির উপর লোহার হুক
চাবি খোঁজতে পেরেশান হয়ে গালের আলতায় জিহ্বা ঘষে দিয়েছি।
কি স্বাদে পায় পোড়া মাটির ক্যামিকাল লাগিয়ে- রূপ সত্যি কি বের হয়?
রূপের ভেতরের রূপে আলকাতরা, জল কুমারিদের আমি লবনের মতো চিনি।
জাপানিরা ভালো নৌকা বানাতে পারে, চরে আটকায় না।
সাসপেন্সসন রাস্তায় গেঁথে তাকে, দোলনিতে অরিতিক্ত আরাম
জলকুমারিকে বসন্তের মতো দোলায়, কোমরে যেন অলৌকিক ইস্প্রিং।
সুন্দর বালক, কল্কিটা এগিয়ে দাও। আরেকটু ফিলিংস ভরি। সেন্সেসন।
বালকের মুখে আরক্তিম হাসি। দেবদুত বালক নিপুন কল্কির কারিগর। একটু উদাস।
চালাক হয়োনা বালক। তুমিও বাতাসের চাকু থেকে দুরে নও
উভয় কামি বাতাস সব লিঙ্গের সুন্দর্য তালুতে কছলাতে জানে বলেই জীবন এত সমকামী।
মনের বৈটা নব গুরিয়ে জলাশয়ের দিকে মনোযোগ দেয়
জলাশয়ে বাতাসের গর্জন, বাতাসের কান্না, বাতাসের ছন্দ
জলাশয় উপচে পড়ছে তীব্র নীল জলে, জলে বন্যা মাছের চীৎকার
পারের কৃষ্ণ শেফালি ধানে চপ চপ শব্দে মাগুর মাছের দ্রুত যাতায়াত
জল কুমারির বনিতা ভেঙ্গে পড়ে বন্যায়, সে কাঁদে জন্মদিনের আনন্দের মতো।
পরিশ্রান্ত বাতাস ছুরিকা ঘুমাতে চায়। জল কুমারি বুক এগিয়ে দিলে-
বাতাসের ছুরিকা নেতিয়ে পড়ে; এখানে প্রেম বিশ্বাসের কোন ছায়ামায়া নেই। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন