১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

কৃষ্ণা দাস

গন্তব্যে যেতে যেতে 

কালের চাকায় ঘুরতে ঘুরতে থমকে দাঁড়াই, 
পাশাপাশি অত্রি, ক্রতু থিসিউস ধুম্রাক্ষ বা প্রেট্রাক, 
কেউ চন্দ্রবংশীয়, কেউ সূর্যবংশীয়, কেউ ব্রাহ্মণ, কেউ ক্ষত্রিয়, বৈশ্য বা শুদ্র । 
শুধু আমার কোন জাত নেই , আমি নিরাকার জল , 
ওরা পাত্র ধরে, নিশ্চিন্ত সুস্বপ্নের আবিলতায় 
তারই আকারে আমি বনভূমি, শস্যখেত, নদী , আকাশ অথবা মাটি, 
ভোরের আলো এসে ধুইয়ে দেয় পৃথিবীর ক্লেদ, 
বাতাস এসে মাটির প্রতি রন্ধ্র্রে রন্ধ্র্রে মেশায় অক্সিজেন, 
আকাশ ধারণ করে উড়ন্ত পাখির আবেগ, আর নদী জীবনের গান গায় । 
এভাবেই প্রেমময়তা পবিত্র করে জীবন্ত করে আবেগী করে , 
রোদ্দুরে প্রেম পুড়িয়ে কখনো রোদচরা 
শৈত্য থেকে ছুটে এসে ওম নেওয়া বিদগ্ধ শ্বাসে 
বৃষ্টিতে প্রেম ভিজিয়ে ভেজা শ্রাবণ 
সাহারার হাহাকারে বৃষ্টি হয়ে মন জুড়ে সবুজাভ খেত 
এভাবেই ছায়াপথ পার হয়ে কৃষ্ণগহ্বরে গন্তব্যের দিকে …..।   


   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন