বই সমালোচনা -- দেবব্রত সরকার ( কবি ও সাংবাদিক )
কবিরা
কবি হন জন্মগত ভাবেই । কেউ তাকে কবি বানিয়ে দিতে পারে না, কিংবা নষ্ট করে দিতে
পারে না । কবির কবিত্ব শক্তি আপনা থেকেই পরিস্ফুটিত হয় । কবিরুল ইসলাম কঙ্ক তার
প্রমাণ । এর আগে কবির একাধিক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । তবে বলতেই হবে ‘একা আছি
নির্বাসনে’ কাব্যগ্রন্থটি অন্য স্বাদের, অন্য ভাবের । এই সৃষ্টি পাঠকদের মনঃপূত হবে
বলে আমি আশা করি । কারণ কবি যে আসলে প্রকৃত প্রতিবাদী তা তার শক্ত কলমের ছাপ
প্রমাণ করে । মাঝে মাঝে কবিতার মাঝখানে কবি বিষাদের গল্প এঁকেছেন । যেকোনো পাঠকই
পড়ে নিজের জীবনের অনুভূতিকে স্পর্শ করতে পারবেন । কখন ও কোনো কিছু পাওয়া, না
পাওয়ার স্বাদ যেমন কবিকে দগ্ধেছে তেমনি একটা তৃপ্ততাও এনে দিয়েছে । তিনিই লিখতে
পারেন – “প্রবাল স্তরে রঙিন মাছ অথবা উষ্ণ স্রোত / মঞ্চের দিকে ঠেলে দেয় মুখস্থ
ভাষ্যপাঠ / বস্তির দুর্গন্ধে জমে আবদ্ধ শহর / গাঢ় আলো চিরে ফেলছে উলঙ্গ শরীর” --- (
বারুদ বৃত্তান্ত ) । প্রতিবাদের কলম যখন উচ্চ মাত্রায় ঠিক তখনই রোমহর্ষক কথা ‘দেশজ
উচ্চারণ’ কবিতায় – “আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে ভোগবাদী লিফট / বর্ষা শীতে কাঁপছে আমার
দেশের নগ্ন গা” । কিংবা—“নাট্যশালার বেমানান কুশীলব / কী নিদারুণ পাল্টে যাচ্ছি সব”
– ( তথ্যছবি, নিমঘ্রাণ )। এইরকম ‘অস্থির সময়ের দুর্নিবার মেঘ’, ‘হাড়মজ্জায় সংক্রমণ
বিষয়ক’, ‘মিঠেকড়া’,
‘দিনলিপি’, ‘আগুনবেলা এবং ভাসান কথা’, ‘উত্তুঙ্গ ধারাপাত ও বিবশ নীহারিকা’ ইত্যাদি কবিতায় কবির প্রতিবাদী রূপ ধরা পড়ে । আবার এই কবিই বলতে পারেন –
“.... এই বুক তোমার স্পর্শ / শরীর জুড়ে তোমার উষ্ণতা /
আমার কাছে আর কোনো দুঃখ নেই” । ‘দিনলিপি’, ‘আগুনবেলা এবং ভাসান কথা’, ‘উত্তুঙ্গ ধারাপাত ও বিবশ নীহারিকা’ ইত্যাদি কবিতায় কবির প্রতিবাদী রূপ ধরা পড়ে । আবার এই কবিই বলতে পারেন –
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন