রাতের সুখ পাখি
নীরব নীরস মুখখানি বড়ই বিবর্ণ,
ভূতলে লুটাইত অর্ধমৃত অতি শীর্ণ।
রাস্তার এককোণে ভীষণ ভিড়ে ,
জমেছে উৎসুক চোখ ধীরে ধীরে ।
শীর্ণ চেতনাহীন সে ছিন্ন বসনা,
তাহারে দেখিবারে মনে যত এষণা ।
চিবুকের ধার বেয়ে রক্তের ধারা,
শায়িত পথের প'ড়ে হয়ে জ্ঞান হারা।
শুধায় জনে জনে যা আসে মনে ,
হরেক রকম ভাবনার ক্ষণে ক্ষণে ।
নির্লিপ্ত আঁখিদ্বয়ে কেবলই হতাশা ,
আপনারে প্রকাশিতে নাই কোনো ভাষা।
জলের ঝাঁপটে কাঁপন আসে ঠোঁটে ,
হুহু করি কান্নার ঢেউ আছড়ে পড়ে তটে।
অতি ধীরে ধীরে অস্পষ্ট স্বরে ,
কাল নিশির বিভীষিকা ব্যক্ত সে করে ।
জনা চারি মদ্যপ পাশবিক আচরণে,
শরীরের জ্বালা খানি মেটায় মহারণে ।
সাঙ্গ হলে মহারণ শতচ্ছিন্ন বেশে ,
এলোকেশী মলিন আমি পরিত্যক্ত শেষে।
নরম মাংসপিণ্ড লোভে উন্মত্ত কামুক,
যৌবন সুখ মেটানোর আশ এবারে থামুক।
রাতের পথ হোক উন্মুক্ত সবার তরে,
একাকিনী পথিকেরাও ফিরুক ঘরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন