০৩ অক্টোবর ২০১৭

সঞ্জীব দে

 সিরিজ কবিতা

  
অনেকদিন ধরেই দৃশ্যপট বদলে যাচ্ছে এই রেখাবৃত্তের

দৌড়চ্ছে পথগুলো গভীর অন্ধকারে ,
অাকাশের যে স্বপ্নচারী পূজাপাটে নৈবিদ্য সাজিয়ে রাখে নৈপুণ্যে তারো রঙ বদলে যাচ্ছে

শিকড় থেকে ফলবৃক্ষের পাতাগুলো মাটিকে চুম্বন করছে
এক অন্যরকম অাবিষ্টে
যখন অামি অাকাশের বাসিন্দা হবো তখন এসব স্বপ্ন
পূর্ণ বাস্তবতায় যৌবন ভরাবে


কুয়াশার ভিতরে ওই পাখিটার দেশ কতো রাত-দিন
কেটে গ্যাছে কুয়াশা সাঁতরে জীবনের গতিপথ ,
শতক মাকড়সার দলবল ছিঁড়ে খেয়েছে বিশুদ্ধ রক্ত মাংসের নিঃশেষে হাড়ের মজ্জা

এখানেই থেমে নেই হিংস্রতা যারা গ্যাছে পাখিটার দেশে
তাঁদের বংশধরেরাও লুপ্তপ্রায় ...

এখন যেসব যৌবন ফিরে আসে , তারাতো শুধুই কুয়াশার দেশে কুয়াশা হবার জন্যেই আসে !


কী অাশ্চর্য ! অাজ সকালেই রাজপথে সহস্র গরুরা মিটিং করছে
অাগামী কোনো একদিন হরতাল হবে রাজপথ জুড়ে

যতটুকু লোকমুখে জানা গ্যাছে
কোনো এক মহল্লাতে একটি কাকের মৃত্যু ঘটেছে বিদ্যুৎ চমকে,
যদিও কাকটির লাশ নিরুদ্দেশ এখনো মেলেনি খোঁজ
তবুও গরুদের বক্তব্য কাকটি নাকি সারারাত ডেকেছে
তাই অাজ মিটিং কাল সারাদিন হরতাল হবে


প্রবল অগ্নিচাপে ছাই হচ্ছি , হয়তো কোনো উৎসরেখায় মিশে যাবার জন্য নিযুত উচ্চচাপ

মোহনা হতে খুব বেশি দূরে নয় আমার মৃত্যুপথ ,
আমিতো শুধু পাথর চাপা কষ্ট নিয়ে ভেসে চলেছি সাগরবুকে

প্রবল অগ্নিচাপে জীবন পুড়ছে , পুড়ছে প্রতিটি কোষ -স্নায়ু-রন্ধনশালা
আমিতো এখন প্রত্যেক রাতে স্বপ্নেও দেখি
কতগুলো কাক নিয়ে যাচ্ছে কাঁধে তুলে আমার মৃত শরীর


মাথাগুলো দৌড়তে থাকে ভূতের অাস্তানায়,
ঐসব ভূত অদ্ভুত হয়ে গ্যাছে অনেক অাগেই

পাগুলো হন্যে হয়ে ক্লান্তি পার করে চলেছে মরূভুমির দিকে
ক্যাকটাস জলাহারে ব্যস্ত সময় পার করে

হাতদুটো অস্তিত্ব সংকটে ভোগে

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী পারবে ফিরিয়ে দিতে সোনালী প্রান্তর ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন