নিশিজাদু
১.
ঘেয়ো মাথা, তাতে জটা, মুখময় খুবলানো দাড়ি
হাট-মাঠ, আলপথ, জলাজংলা নিয়ে
আসমানতলা বাড়ি।
দেখুন'গে সেইখানে মহানন্দে শুয়ে আছে পাগলা সামাদ!
আজকের কথা নয়,
প্রতি রাত বারোটা নাগাদ ---
বৃক্ষচূড়া থেকে তার দোতারাটি পেড়ে
সেটিকে জড়িয়ে পাগলা শোয়,
একফালি মেঘ দিয়ে ঝেড়ে।
২.
আমাদের বউ নাকি কোনও এক জাদুকরি গহন নিশিতে,
গান হয়ে উড়ে গেছে মনিরুদ্দি বয়াতির সঙ্গে!
ফলে, তাকে এই মতো পেয়েছে দশায় ---
মহল্লার নানি-দাদি-ফুফা করে হায় হায়।
সামাদের কানে আসে এসব রটনা।
এসব শুনে সে হাসে,
কী করে জানল লোকে স্বামী-স্ত্রীর নিশুতি ঘটনা!
আনজনে সে রহস্য সামাদ --- বা কী করে জানায় ---
সুর-স্বর হয়ে বউ ঢুকে গেছে তার দোতারায়।
শেষরাতে ঘুমঘোরে দোতারার বুকে লাগে সামাদের হাত।
শিহরিত জলাজংলা জোছনামায়া নিয়ে
আমাদের বউ যেন হেসে ওঠে
আলতো ঝনাৎ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন