ব্যর্থ প্রেমী ...
মনে পড়ে না শেষ কবে কবিতা লিখেছি
তোমার জন্য। তোমার প্রত্যেক চিঠির উত্তর
দ্বিতীয় লাইনের পর আটকে গেছে।
বুঝতে পারি, তৃতীয় লাইনটাই সবথেকে
দামী! ছড়িয়ে থাকে একান্ত হবার ইচ্ছেগুলো।
হয়তো তুমি আশা করেছো বারবার! আমি
তৃতীয় লাইনটাও দিতে পারিনি কখনো। আমার
অনবরত দেরী হয়ে যাচ্ছে!
প্রত্যেকবার ভাবি, হলদিয়া বন্দর থেকে
কিছু আধফুটন্ত শিউলি আনবো। উপহার
দেবো চিঠির বাণ্ডিল। বা ব্যর্থ প্রেমের
বিজয়কাহিনী! প্রতিটা মুহূর্তে দুহাত ভরে
শব্দ দিয়েছো তুমি আমায়। শব্দের কাছে
জমেছে পাহাড়প্রমাণ ঋণ! আমার রুমালে মাপা
জীবন। শোধ করতে ছুটেছি বারবার। মেঘের
আড়ালে। উপকূলে! আমার সত্যিই দেরী
হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে ঘুমন্ত করছি
বালিশ কাঁথার সঙ্গমে!
আমি বুঝতে পারি না, কিভাবে প্রেম দেবো
তোমাকে! সমীকরণগুলো শুইয়ে রেখেছ
তুমি। লঘু পায়ের ছন্দে। আমার শরীরজুড়ে
নেমেছে অবসাদ। সমতলের নদীতে শুদ্ধ
করেছি আমার হাতদুটো। সেই হাতও ভাষা
হারিয়েছে , নাভিদেশের অদূরে! তোমার ঠিকানা
লিখতে গিয়ে থমকে গেছে কলমের আন্তরিকতা।
আমি তোমাকে আমার অস্তিত্বের সবটুকু
দিতে ছুটেছি। বারবার। আটকে গেছি
ট্রাফিকের গিঁটে। সর্বস্ব বাজী রেখেছি
কবিতার কাছে। তারপর, গির্জার বৃদ্ধ ঘড়িকে
উদ্দেশ্য করে বলেছি সব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন