কুয়োতলা
অচেনাকালের কোনো কুয়োতলা
লন্ঠনের জীর্ণ আলোয় দুলেছিল
এত দূরদেশ, তবু সে-অলীক ছায়া
তোমাদের স্নানের উঠোনে
শুধুই বিভ্রম বলো!
প্রক্ষালনের জল ঝুঁকে এসে কিভাবে বাড়ালে !
লন্ঠনের জীর্ণ আলোয় দুলেছিল
এত দূরদেশ, তবু সে-অলীক ছায়া
তোমাদের স্নানের উঠোনে
শুধুই বিভ্রম বলো!
প্রক্ষালনের জল ঝুঁকে এসে কিভাবে বাড়ালে !
ফসিল
ভূগোল পালটে যায়। শস্যরেখ কিছুতে সরে না
সর্পবাণ, বাঁধে বোধ ভূমি পৃথুল সংসার
মুছে গিয়ে এখনও অনেক প্রথা, ব্রতাচার, মগ্ন পিলসুজ
মাটির প্রদীপ জলে ভেসে যায়। এ-সড়কে বায়ুযান
কিংবা মৃৎশকট, সমূহ রক্তের ছায়া ...
বাঁচো কিংবা অতিকায় সত্বেও ছুটি
ফসিলই বলে থাকে কার কিভাবে যাত্রা
কেমন নিষ্ক্রমণ
ভৈরবী
দেহে যা বলছি তাই মাত্রাবোধ
ধীরে, যা প্রবেশ্য, আর পূর্বাপর
মৃত্যু অধিক কোনো সিন্ধু-সন্ধ্যার রেখা
তুমি, সহজীবনের মূলে
সুপ্ত আদিম ভবকাল
অস্তরাগ
কিছু মৃত্যুর আগুনে জ্বলেছিল
রেললাইনের পাশে মুণ্ড ধড়
তামাদি চিহ্ন কিছু পড়ে
ডাকি। কখন জাগবে!
অন্নের চূড়োয় এসে রোজ রোজ সূর্য ঢলে যায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন