০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

হেরিটেজ

না হয় অন্ধকার ঘিরে ধরেছে কেলি কদমকে, এই সুযোগটা কেন নেবে মেঘ? তবু নিয়েই নিল, লাল পাথরের চাঁই গুলো নিজে শরীর দেখালো, বুকের খাঁজে চেপে ধরল মাথা, পুবের সেই মাওবাদের জঙ্গল থেকে কয়েকটা বাজপাখি ডুলুং নদীর রেখা ধরে উড়ে চলল পশ্চিমে-
সুবল সরেনের হাতে মহুয়া বোতল - বলছে আবার লড়াই বাঁধবে,ওই যে ব্রিজের নিচে চল্লিশটা মুখ দিয়ে জল বেরোচ্ছে গলগল, ওর সাথে মিশে আছে শুকনো ঘামের গুঁড়ো, দেখছিস না- কেমন পাথরও গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে -- চান কর্ কিন্তু গভীরে যাস্ না- জানিস তো স্রোতের কোন পিরীত নেই-
এখন হেরিটেজ ভাষায় কথা বলছে জঙ্গল, পযসার বিনিময়ে নাভি দেখাচ্ছে চিলিকিয়া, বলছে দশ টাকায় কি আর দেখবি,  শালপাতার ছাই তো পাবি না আর-
শব্দ আসছে, মেঘ বাতাসের জড়াজড়ির শব্দ, স্রোতে ডুবে যাওয়া হাঁটু কোমরে আদিম টান, আমি বুক ডুবাতে চাই- কাঁধের শ্রম ধুইতে ধুইতে মোতিয়া বলল- তুর দেহটায় আকাশ নাই কেনে?
হেরিটেজের বানানো রঙিলার চকচকে পালিসে তখন হিসি করছে কয়েকটা হনুমান ----

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন