স্বীকারোক্তি
শেষের দিকে আমরা অনেক কৃপণ হয়ে গেছিলাম নন্দিনী
একে অপরের প্রতি সময়ের খরচ প্রায় বন্ধই হয়ে গেছিল
দুজনেই মন থেকে অভিমান আত্মসম্মানের প্রলেপ খুড়ে খুড়ে তুলে ফেলে দিচ্ছিলাম সম্পর্কের আনাচে কানাচে
রোজ রাত্রে নিজেদের আশান্তি আর তীব্র ঝগড়ার আমেজ ছড়িয়ে দিয়েছিলাম প্রতিবেশীদের বাড়িতে
বাবুর সামনে তোমার গালে চড় মেরে এক ঘেন্নার বীজ বপন করেছিলাম পাঁচ বছরের শিশুর মনে
হ্যাঁ হ্যাঁ ।আমি দোষী ছিলাম।
আজ জীবন নদীর এতটা পথ এসে যখন উৎসের দিকে চাইলাম,তখন নদীর ব্যর্থতাটুকুই চোখে পড়ল।
সবারই হয়তো তাই পড়ে।
প্রত্যেকটা ব্যর্থতা উৎস থেকে হাত নাড়ে।বুঝিয়ে দেয় গোটা জীবনে ওরা কিন্তু ছিল তোমার পাশে
আজ এই নদীকে সাক্ষী রেখে আমি নির্ভয়ে নির্লজ্জের মত বলতে পারি,আমি দোষী ছিলাম।ঈশ্বর যথাযথ শাস্তি প্রদান করুক।
আ.সি.ইউ-র হার্টবিট মনিটরের আপডাউন সমান্তরাল হল কিছুক্ষণেই
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন