০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মহম্মদ সামসুর রহমান

নষ্টালজিক

আপাদমস্তক নিজেকে  ডুবিয়ে ফেলেছি অচেনা পাঁকে,
আমি ওঠার চেষ্টা করছি,ব্যর্থ হচ্ছি,ডুবে যাচ্ছি
আমার আয়ু ফুরিয়ে যাচ্ছে প্রমাদ গুণতে গুণতে,
প্রেম অপ্রেম হতে যতটা সময় লাগে
ততটা সময় ধরে চেষ্টা করছি পুনর্বার বাঁচবার,

স্মৃতির অতলে কেবলই কুরে কুরে খায় বিষঘুম,
এগিয়ে এসো প্রিয় শহর পেরিয়ে গঙ্গার ধারেসেই বকুল গাছ,
বকুল গাছে আটকে থাকা আমার কলেজ জীবন___
আমার ঋতু তিথি নক্ষত্র___ওটাই তো আমার কবিতার পীঠস্থান,

তুমি কষ্ট দিয়েছিলে,কষ্ট পেয়ে একদিন ভেবেছিলাম তোমার পৃথিবীতে ঢুকে
তছনছ করে দেবো___সব অলীক সুখ,খোলাখুলি হাসি,চোরা কারবার,
কিছুই করতে পারিনি,কিইবা করতে পারি!
জেনে গেছি আমার পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই

ঋতুর বদল ঘটে,বকুল গাছের পাতা ঝরে,
রোগা পাতলা পাগল মানুষটা বকুল গাছের নীচে বসে,সিগারেট ধরায়,গাঁজা টানে,
অধ্যাপক বকে,গেটম্যান গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়___লোকটা নিজেও কবি,
যে কিনা বকুল গাছ না থাকলেও এক সেকেন্ডে কয়েক হাজার বকুল গাছ
তৈরি করে তার তলায় প্রিয় ফুলের চারা পুঁতে দেয়,
আগলে রাখে সারাদিন,সারারাত__
ঘাম অশ্রু দিয়ে বড়ো করে চারা দানা_সামান্য জীবন,
অথচ একটা সামান্য জীবনের কাছে লোকটার দেহ প্রেম বিলীন হয়ে যায়_হারিয়ে যায় অস্তিত্ব
লোকটা অনায়াসে হারিয়ে ফেলে নিজের রৌদ্রের উত্তরাধিকার,
ভালোবাসে স্বমেহন,ভালোবাসে নিজেকে,

যতটা প্রেম চায় আমিই কি দিতে পারি!
দড়ির মতো যেন গুটিয়ে ফেলেছি নিজেকে
কেউ যদি ইশারায় অদ্ভুত ভঙ্গিতে ডাকে
আমি তেষ্টায় জল চাইবো,
বারবার পরাজয় স্বীকার করতে কে চায়?
মৃত্যুকে বাঁ পাজরে বসিয়ে ডানপাশে জীবনকে ভালোবাসতে গিয়েও একরাশ বিড়ম্বনা,
আমার পৃথিবীতে আমি একাই পুরুষ

হে প্রেম হে নারী হে স্বৈরিণী হে প্রিয় ফুল
ডুবে যাও সূর্য  অস্তাচলে___
মিশে থাকো বালি সিমেন্টের মতো কবিতায়,
দেবী হও,প্রণাম নাও,প্রেম চেয়ো না__   




                      

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন